খানিকটা উৎসাহঃ গবেষণা এবং পাবলিকেশন_ পর্ব ৪

আজকে প্রথমেই আলোচনা করবো কি করে কার্যকরি Tables and Figures তৈরি করবেন এবং তার সাথে সম্পর্কিত কিছু টিপস! এরপরে আলোচনা করবো Results অংশটুক কি করে লিখবেন এবং ডেভেলপ করবেন।
এই Tables and Figures এত বেশি গুরুত্বুপূর্ণ যে, এগুলোই আপনার পেপারের সামগ্রিক কাজটাকে প্রতিফলিত করে। কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে কেন Tables ব্যবহার করতে হবে? আমি এক বাক্যে বলি, Tables are used to make an article more readable by removing numeric data from the text। আর Figures কেন? আপনি যখন কোন একটা ছেলে বা মেয়ের প্রেমে পড়েন তখন কিন্তু সে দেখতে কেমন এটা একটু হলেও প্রাধান্য পায় (তার মানে সে সবার কাছে সুন্দর নাও হতে পারে কিন্তু আপনার কাছে নিশ্চয় অনেক সুন্দর)। ঠিক পেপারের ক্ষেত্রেওFigures এর প্রয়োজনীয়তা কে আমি এভাবে দেখি, Figures provide visual impact and therefore they are often the best way to communicatethe primary finding। পরিস্থিতি অনুযায়ী এই টেবল এবং ফিগার গুলো পেপারের যে কোন সেকশনে আসতে পারে অর্থাৎ, Materials & Methods এও আসতে পারে কিংবা আসতে পারে Results অথবা Discusions এও। এইটা নির্ভর করবে কোথায় প্রয়োজন তার উপর। Tables and Figures এর ব্যপারে খুবি সাবধান থাকা উচিত কেননা যে কোন একজন পাঠক Abstract পড়া শেষ করে আগে Tables and Figures গুলো দেখে কাজ সম্পর্কে ধারণা নিতে চেষ্টা করেন, যেটা আমি-আপনিও করি কিন্তু। আপনার ডাটাগুলো কিভাবে পেপারে সাজাবেন তা পেপার (Manuscript) এর প্রথম ড্রাফট লেখার আগেই প্ল্যান করে নেয়া উচিত বলে আমার মনে হয়। এর ফলে যে সুবিধাটা আপনি পাবেন তা হল, আপনার পুরো কাজটি ঠিক আছে কিনা, আরো কিছু ডাটা নেয়ার প্রয়োজন আছে কিনা, আপনার কাছে যে ডাটাগুলো আছে সেগুলো আপনার সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে পারছে কিনা এবং সবশেষে কোন ডাটা বাদ পরলো কিনা। কি করে প্রথম ড্রাফট লিখতে হয় Manuscript এর, সেই ব্যপারেও একটা নোট লিখবো কেননা আরো অনেক নির্দিষ্ট বিষয়ে লেখার জন্য আপনাদের অনুরোধ পেয়েছি ইনবক্সে। যাই হোক, Tables and Figures তৈরি করার জন্য কিছু টিপস শেয়ার করি আপনাদের সাথে।
[১] কোন ফলাফলগুলো আপনি উপস্থাপন করতে চান, কোন ডাটাগুলো আপনি প্যারাগ্রাফ আকারে লিখবেন আর কোন ডাটাগুলোকে ছকাকারে লিখবেন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন।
[২] এই ক্ষেত্রে যে ডাটাগুলোকে আপনার মনে হয় যে প্যারাগ্রাফ আকারে লিখলে পরিষ্কারভাবে এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যাবে না সেগুলোকেই কেবল ছকাকারে (টেবল) লিখু্ন।
[৩] আপনার কাজের সাথে তেমন একটা সম্পর্কিত না, এমন কিছু ভুলেও ছকাকারে লিখবেন না।
[৪] প্রত্যেকটা ছক এবং ফিগার এমন হবে যেন, সেগুলো দেখে কিংবা পড়েই যাতে বোঝা যায়- যার জন্য প্যারাগ্রাফ পড়ার প্রয়োজন যাতে না হয়।
[৫] আপনার প্যারাগ্রাফে আলোচনা করার সময় ফিগার এবং ছক এর কথাগুলো যে ক্রমানুসারে এসেছে ঠিক সেই ক্রমানুসারেই প্রত্যেকটা ছক এবং ফিগারকে নাম্বার দিন। যেমনঃ Figure 1, 2, …. Table 1, 2, … তবে মাথায় রাখবেন ফিগার এবং ছকের নাম্বারিং ক্রম বিন্যাস আলাদা হবে অর্থাৎ ধরুন প্রথমে একটি ফিগার দিলেন যার নাম্বার ১, পরে আসলো আরেকটি ছক। ছকটিকে নাম্বার দিবেন ১ কোনভাবেই ২ নয়। পরে আবার ফিগার আসলে যেই ফিগারের নাম্বার হবে ২।
[৬] সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হল, এমনভাবে যাতে ছক এবং ফিগার গুলো ক্রমানুসারে আসে, তাতে পুরো ব্যপারটি একটি গল্প বলতে পারে আপনার কাজের।
[৭] আপনার প্যারাগ্রাফের মধ্যে যাতে প্রত্যেকটা ফিগার এবং ছকের কথা আসে – এই ব্যপারটি মাথায় রাখবেন।
[৮] আপনি যদি ইতিমধ্যেই পাবলিশ হয়ে গেছে এমন কোন পেপার থেকে কোন ফিগার এবং ছক ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই Copyright Holder (সাধারণত Publisher) থেকে অনুমতি নিবেন।
কি বুঝলেন? খুব কঠিন অথবা থিওরেটিকেল হয়ে গেল? আমি আপনাদের আগেই বলেছি সবগুলো টিপস সব সময় প্রযোজ্য না। তবে চেষ্টা করবেন যত বেশি আপনি অনুসরণ করতে পারবেন। তবে বিশ্বাস রাখুন, প্রথম পেপারের কাজ হলে আপনার হয়তো এসব বিষয়ে অভ্যস্ত হতে একটু সময় লাগবে। পরে দেখবেন এটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। শেষ কিছু কথা দিয়ে Tables and Figures এর আলোচনা শেষ করছি। Tables এর ক্ষেত্রে Column Headings এবং Table Notes ঠিকভাবে লিখবেন যাতে পুরো টেবলটি সহজেই বঝা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, প্রত্যেকটি column এর অর্থ বোঝা যেতে হবে যাতে আপনার প্যারাগ্রাফ (text) এর মধ্যে রেফারেন্স না দেয়া হলেও। আর Figures এর ক্ষেত্রে গ্রাফ আঁকার সময় Label each axis including units of measurement and clearly identify the data you are displaying (e.g. label each line in a graph)। Graph আঁকার জন্য Microsoft Office – Excel তো আছেই, তবে DPlot নামে একটা সফটওয়্যার আছে, ব্যবহার করতে পারেন – অনেক সুন্দর গ্রাফ আঁকা যায়। Figures গুলো যাতে high image quality with minimal pixelization হয় এটি লক্ষ্য রাখবেন। খুব কমন figure format গুলো ব্যবহারের চেষ্টা করবেন, যেমনঃ JPEG/JFIF, PNG এসব।
এইবার আসি, Results অংশটুকু কি করে লিখবেন। যদিও অনেকে Results and Discusions একসাথে লিখে থাকেন। তবে আমি মনে করি, Results এবং Discusions একসাথে না লেখাই ভালো, যদি না একমাত্র যে জার্নালে আপনি জমা দিবেন সেই জার্নাল থেকে এটাকে একসাথে লিখতে না বলে। আমি Discusions কেমনে লিখবেন সেই ব্যপারেও আলোচনা করবো, তবে আলাদাভাবে।
আপনি যে ফলাফল লিখতে যাবেন, তার জন্য অবশ্যিই গ্রহনযোগ্য মেথড আপনি Methods সেকশনে আলোচনা করে এসেছেন। এখন শুধু লেখা শুরু করার আগে একটি মাত্র গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা হল, আপনি এই Results অংশে এমনভাবে Tables and Figures গুলোকে আনুন, যাতে এগুলো আপনার কাজ সম্পর্কে একটি সুবিন্যস্ত গল্প বলতে পারে। কিছু টিপস দেই এইবার।
[১] আপনার কাজের সাথে প্রাসঙ্গিক, যে ফলাফলগুলো উপস্থাপন করলে আপনার কাজ সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে শুধু সেগুলোই এখানে লিখবেন। কেননা, আপনার প্রাপ্ত সব ডাটা Results অংশে লিখতে হবে এমনটা ভাবা ভুল।
[২] ডাটা গুলোকে এমনভাবে সাজাবেন যাতে Methods এর chronological order অনুযায়ী হয় অথবা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ এই অর্ডারে হয়।
[৩]  Results অংশ লিখতে গিয়ে আপনার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত যেটি নিতে হবে তা হল, কোনগুলো আপনি প্যারাগ্রাফ (text) আকারে লিখবেন আর কোনগুলো figures, graphs, অথবা tables আকারে দিবেন।
[৪] আপনার findings এবং point গুলোকে summarize করে লিখুন যাতে শুধুমাত্র প্রাসঙ্গিক ডাটা থাকে text, figures এবং/অথবা tables এ। একি ডাটা যাতে বারবার না আসে – এই ব্যপারটি মাথায় রাখবেন। Stanford University, CA, United States এর Professor Dr. Sarah Billington এর সাথে পেপার লেখা নিয়ে যখন গল্প করছিলাম, তখন উনি একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিলেন। তিনি বললেন, যে ডাটাগুলো গ্রাফে দেখানো হয়েছে তা ছকাকারে লেখা অপ্রয়োজনীয়। আবার যেগুলো ছকে দেখানো হয়েছে সেগুলো গ্রাফে দেখানোর দরকার নেই, তবে গ্রাফ ব্যবহার করায় ভাল। যদিও অনেক গবেষকই অনেক সময় উভয়েই ব্যবহার করেন, তারপরেও শেখার তো শেষ নেই।
[৫] কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোন গ্রাফ বা ছবিকে বিস্তারিত বর্ণণা করতে পারেন এই অংশে, তবে প্লিজ চর্বিত চর্বন করবেন না।
[৬] পুরো manuscript জুড়েই ডাটা গুলো সঠিক এবং consistent আছে – এই ব্যপারটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ধরুন, প্যারাগ্রাফ (text) এ লিখলেন Pressure-Impulse ratio 1.5, কিন্তু ঠিক ঐ বিষয়ের ডাটা দিতে গিয়ে ছকে ভুলে লিখে ফেললেন Pressure-Impulse ratio 0.5 !! এই ভুলগুলো আপাত দৃষ্টিতে ছোট্ট , কিন্তু মারাত্মক ইমেজ নষ্ট হয় পেপারের কেননা এতে Reviewer সন্দেহ করতে পারে। আর Reviewer এর মনে একবার সন্দেহ ঢুকে গেলে খুব নামি দামি জার্নালে পেপার পাবলিশ করানো খুবই কঠিন হয়ে পরে, কেননা Reviewer তখন নানা ভুল খুঁজে বেড়ায়।
[৭] যখন results লিখবেন প্যারা আকারে তখন অবশ্যই past tense ব্যবহার করবেন।
[৮]  প্রত্যেকটা figure এবং table এর একটা প্রাসঙ্গিক heading (নাম) দিন।
[৯] আলোচনার সুবিধার্থে Results অংশকে আপনি কয়েকভাগে ভগ করে নিবেন ৪/৫ টি Sub-headings দিয়ে। এই কাজটা আমি প্রায়ই করি, এতে আপনার পেপারের আউটলুকটি অনেক স্মার্ট হয় !
যাই হোক, থিওরেটিকেল কথা অনেক বললাম। ছোট্ট একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি [শুধুমাত্র প্যারাগ্রাফ (text) এর]।
[বিনা অনুমতিতে নিচের প্যারাগ্রাফ থেকে আংশিক/পুরো তথ্য ব্যবহার করা আইনত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। Association of Civil and Environmental Engineers (ACEE) থেকে ০৫/১১/২০১৩ তারিখে আমার নামে (I. B. Muhit) Legal Copyright আছে]
5. RESULTS
5.2 Effects on Water Permeability of High Performance Concrete
The water permeability (maximum penetrated water depth) of concrete for SF study group (for different replacement levels of OPC with silica fume) and for FA study group (for different replacement levels of OPC with fly ash) is represented at Fig. 1 and 2 respectively. From Fig. 1 it is very clear that very low penetration of water is allowed in SF-V type specimen where 10% OPC was replaced with silica fume. Without any silica fume, the penetration depth was 28mm and with 10% silica fume it was 11mm, which shows that, more than 60% reduction of water penetration can be achieved by mixing 10% silica fume. Silica fume contains fine size particles which fill the little spaces between the cement particles and it results denser concrete than the concrete without silica fume. Consequently, optimum dosage of silica fume decreases the permeability significantly but excessive silica fume can’t.
আশা করি, বুঝতে পেরেছেন কি করে লিখতে হবে। অনেক সময় লাগলো এই একটি লেখা লিখতেই (), যদি আপনাদের লাজে লাগে তাহলেই হল। কি করে পেপারের Central Message এর উপর ফোকাস করা যায়, কি করে প্রথম ড্রাফট লিখতে হয়, কি করে একটি Effective Outline দাঁড় করানো যায়, জার্নাল কিভাবে পছন্দ করবেন, Impact Factor কি, সাবমিশন চেকলিস্ট, Responding to Reviewers, কি করে পেপার প্রমোট করা যায়, ইত্যাদি নিয়ে ক্রমাগত ইনবক্সে মেসেজ পাচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাদের আমাকে আইডিয়া দেয়ার জন্য। একটু সময় দিন, আমি প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আমার জন্য দোয়া করবেন। সবাই ভালো থাকবেন, আপনাদের কেমন লেগেছে জানাবেন সাথে সাথে অন্যদের কাছে শেয়ার করবেন।
লেখকঃ
Imrose Bin Muhit
Research Assistant on Protective System and Structures 
Chung-Ang University
Seoul, South Korea.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *